মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলে কটাক্ষের শিকার হয়েছিলেন। নিন্দকেরা দাবি করেছিলেন, প্রচারে থাকার জন্য নাকি অবসাদ নিয়ে কথা বলছেন তিনি। বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবসে সেই কটাক্ষেরই জবাব দিলেন দীপিকা পাড়ুকোন।দীপিকার নিজস্ব একটি সংস্থা রয়েছে, যেটি মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষকে সচেতন করে। সেই সংস্থার হয়ে সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারাতে যান দীপিকা। সেখানকার মানুষকে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন করেন তিনি। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে দীপিকা জানান, একসময় মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে কথা বলে বিপাকে পড়তে হয়েছিল তাঁকে। কিন্তু করোনা অতিমারির পরে সকলে টের পেয়েছিলেন মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্ব। দীপিকার স্পষ্ট বক্তব্য, “অনেকের হয়তো সন্দেহ ছিল, মানসিক স্বাস্থ্য বলে আদৌ কিছু হয় কি না। কিন্তু কোভিডের পরে সবার কাছে সেটা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছে।”
দীপিকার দাবি, মানসিক স্বাস্থ্য এতটাই গুরুত্বপূর্ণ যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত তাঁর ‘মন কি বাত’-এ এই বিষয়ে কথা বলেছেন। তবে এখনও বহু মানুষের মধ্যে মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে নানা ছুঁতমার্গ রয়ে গিয়েছে বলে মনে করেন দীপিকা।
২০১৪ সালে প্রথম নিজের অবসাদের কথা বলেছিলেন দীপিকা। তার পরে শুরু করেন নিজের সংস্থা। দীপিকা বলেছেন, “আমি অনেক আগে থেকেই ঠিক করে নিয়েছিলাম, মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে আমি মানুষকে সচেতন করতে চাই। হয়তো তার বেশি কিছুই করতেই চেয়েছিলাম।” কিন্তু এই বিষয়ে উদ্যোগী হওয়ায় নানা কটাক্ষ শুনতে হয়েছিল দীপিকাকে। অভিনেত্রী বলেন, “অনেকে প্রশ্ন তুলেছিলেন, আমাকে কি কোনও ওষুধের কোম্পানি থেকে পয়সা দেওয়া হচ্ছে? কিন্তু সে সব কটাক্ষ এড়িয়েই আমি আমার সংস্থাকে বলেছিলাম, আমাদের কাজ করে যেতে হবে।”
0 মন্তব্যসমূহ